সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির সুযোগে স্কুলের অর্থ হরিলুটের পাঁয়তারা

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে জেলার ঐতিহ্যবাহী ও শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল। বতর্মানে স্কুলটিতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নেই। যার ফলে স্কুলের আয়-ব্যয় দেখার দায়িত্বশীল কেউ নেই।

জানা যায়, বিগত সালের ২১ আগস্ট হতে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলী বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বে আছেন মৌ, নুর মোহাম্মদ।

শহরের লালদিঘির পাড়ের রূপালী ব্যাংকে স্কুলের একাউন্ট। যার একাউন্ট নং-৩২০০ হলো নাম্বার। প্রতিষ্ঠার পর হতে এই একাউন্ট নাম্বারেই বিদ্যালয়ের লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসছিল। প্রধান শিক্ষক না থাকলেও গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত উক্ত একাউন্ট নাম্বারে লেনদেন হয়। ছাত্রছাত্রীরা ততদিন পর্যন্ত ওই একাউন্ট নাম্বারেই বেতন ও ফিস জমা করেছিল।

কিন্তু হঠাৎ গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক মৌলানা নুর মোহাম্মদ, আবুল আজম ও কানিজ ফাতিমার নামে একই ব্যাংকে নতুন একটি একাউন্ট খোলে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি ফি, বেতন ও অন্যান্য ফি জমা নিচ্ছেন। ওই একাউন্ট থেকে ৩ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল সরকারি এমপি ও ভুক্ত একটি বিদ্যালয়। এখানে আয়-ব্যয় কর্মকর্তা হচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষকদের নামে একাউন্ট করে টাকা জমা ও লাখ লাখ টাকা উত্তোলন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কোন নিয়মে নেই।

বাংলাদেশ গেজেট, শনিবার, মে ১১, ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা এর তারিখ: ২০ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ/০৩ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ এর প্রজ্ঞাপনের পৃষ্ঠা নং- ১৬৮৩৩ এর ধারা- ৫০ ব্যাংক হিসাবে ও উহা পরিচালনা -(১) মতে, গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, নির্বাহী কমিটি, এডহক কমিটি বা বিশেষ পরিস্থিতি কমিটি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে নিকটবর্তী কোনো তপসিলি ব্যাংকে একটি ব্যাংক হিসাব খুলিবে। (২) সভাপতি এবং সদস্য-সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হইবে।

এখানে সদস্য সচিব বলতে প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কিন্তু কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলে মন্ত্রণালয়ের এ নিয়মের তোয়াক্কা না করে ৩ জন শিক্ষকের নামে একাউন্ট করে এই ৩ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরেই টাকা লেনদেন হচ্ছে। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মৌ. নুর মোহাম্মদ বলেন, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর ছাড়া স্কুলের একাউন্ট থেকে টাকা তোলা যায় না। তাই শিক্ষকদের বেতন দিতে আলাদা একাউন্ট করা হয়েছে।

সূত্র: দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *